সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও দুইজন বাংলাদেশির মৃত্যুর হয়েছে। তাদের মধ্যে— ১৪ জুন মারা যান রাজশাহীর বুলুনপুরের মো. শাজাহান আলী (৬৬) ও কুমিল্লার বরুড়ার মো. আবুল কাশেম (৪৬)।
এ নিয়ে এবারের মৌসুমে হজ পালন করতে গিয়ে ১৯ বাংলাদেশি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাদের মধ্যে তিনজন নারী। পবিত্র মক্কায় মারা যান ১৬ জন এবং মদিনায় তিনজন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল পিলগ্রিমের ডেথ নিউজে এসব তথ্য জানা গেছে। ডেথ সার্টিফিকেট সংযুক্ত ও তারিখ উল্লেখ করে পোর্টালে বলা হয়েছে, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, উক্ত হাজি ... তারিখে ইন্তেকাল করেন।
পিলগ্রিম সূত্রে জানা যায়, এর আগে ৩১ মে মারা যান মো. আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে; ২ জুন শাহানারা বেগম (৬৪) ও ড. মো. শফিকুল ইসলাম (৫৮), তাদের বাড়ি যথাক্রমে ঢাকার বাটামারা ও পাবনার সদরে; ৩ জুন মো. আলী হোসেন (৬৭), তার বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে; ৪ জুন মো. আয়ুব খান (৪৮), তার বাড়ি ঢাকার খিলগাওয়ে; ৬ জুন মো. শহিদুল আলম (৬৭), তার বাড়ি পঞ্চগড়ের রাধানগরে; ৭ জুন রোকেয়া বেগম (৬২), তার বাড়ি বগুড়ার সান্তাহারে; ৮ জুন মো. আদম উদ্দিন মণ্ডল (৭১) ও মো. আমজাদ হোসেন প্রধান (৫৭), তাদের বাড়ি যথাক্রমে নওগাঁর আত্রাই ও গাইবান্ধার বোনারপাড়া; ৯ জুন মারা যান মো. মতিউর রহমান (৬৮), তার বাড়ি রংপুরের সদরে; ১০ জুন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির আব্দুল মান্নান (৫৯); ১৩ জুন সাতক্ষীরার বাঁশদহার মাখতুরা খাতুন (৬১); ১২ জুন কুমিল্লার বরুড়ার মোহাম্মদ আবুল হাশেম (৬১); ১১ জুন রংপুরের বদরগঞ্জের মো. শহিদুল্লাহ মন্ডল (৭৬); ৭ জুন কুমিল্লার দেবীদ্বারের মো. আবুল হোসেন ভূইয়া (৭১); ১০ জুন চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের মো. আব্দুল মতিন (৬০); ১২ জুনমাগুরার মোহাম্মদপুরের সৈয়দ নাইমুল হক (৬২)।
সৌদি আরেবের আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। মৃতদেহ তার নিজ দেশে নিতে দেয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না।
গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের ফ্লাইট শুরু হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ২২ জুন। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই এবং শেষ হবে ২ আগস্ট। আগামী ২৭ জুন চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে।